কাতারে চলছে বাংলাদেশি আম উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৫, ১২:২২ PM

কাতারের সৌক ওয়াকিফে চলমান ‘বাংলাদেশি আম উৎসব’ (আল-হামবা প্রদর্শনী) শুরু হওয়ার পর থেকেই দারুণ সাড়া ফেলেছে। মাত্র তিন দিনেই এই উৎসবে বিক্রি হয়েছে ২৯ টনেরও বেশি আম। একই সময়ে বাংলাদেশের আমের স্বাদ নিতে সৌক ওয়াকিফে ভিড় করেছেন ৩১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি দর্শনার্থী।

কাতারি সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সৌক ওয়াকিফ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী উৎসবের প্রথম দিনে বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ৭০০ কেজি আম। দ্বিতীয় দিনে ১১ হাজার ৩০০ কেজি এবং তৃতীয় দিনে ৯ হাজার ৭০০ কেজি আম বিক্রি হয়। তিন দিনে মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭০০ কেজিতে।

প্রথম দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১২ হাজার ২০০ ও ১২ হাজার ৫০০ জনে।

সৌক ওয়াকিফের পূর্ব স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এই আম উৎসব আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এতে বাংলাদেশের ২০ ধরনের আম প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাস এবং প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস (পিইও)-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই মেলায় রয়েছে নানা ধরনের আমসহ বাংলাদেশ থেকে আনা বিভিন্ন ফল।

উৎসবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় আমের মধ্যে রয়েছে আম্রপালি, ল্যাংড়া, কাটিমন, ক্ষীরসাপাত, ফজলি, গোবিন্দভোগ, হাঁড়িভাঙা, লেইম ম্যাঙ্গো, কলা আম, হিমসাগর ও লক্ষণভোগ। এছাড়া লিচু, কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, পেয়ারা, বুবি (বাকাউরিয়া মোটলেয়ানা) এবং আনারসও বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ।

মেলা প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে, তবে সরকারি ছুটির দিনে সময় বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত রাখা হয়।

অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই সরাসরি বাংলাদেশ থেকে কাতারে এসেছেন শুধু এই উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য। বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের থেকে আনা উচ্চমানের ফল এখানে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশের আমের মৌসুমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা এবং উচ্চমানের পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

বাংলাদেশ দূতাবাস এবং উৎসব উদ্‌যাপন কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবটি বাংলাদেশি ও স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে একটি বিশেষ বাণিজ্যিক পরিবেশে তাদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছে। প্রদর্শনীস্থলে পণ্য সতেজ রাখতে এবং দর্শনার্থীদের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।