পুরস্কার পেলেন ১টি টি-শার্ট
বিশ্বের প্রথম কুৎসিত আঙিনার জন্য বিজয়ী হয়েছেন অস্ট্রেলীয় এক নারী
সাধারণত মানুষ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পছন্দ করে। আঙিনায় যেন পরিবারটির সৌন্দর্যের পরিচয় দেয়। তবে এবার কুৎসিত আঙিনার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন এক নারী। বিশ্বের প্রথম কুৎসিত আঙিনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন একজন অস্ট্রেলিয়ান নারী।
তাসমানিয়ার স্যান্ডফোর্ডের বাসিন্দা ওই নারীর নাম ক্যাথলিন মারে। সুইডেনের গোটল্যান্ড শহরে আয়োজিত প্রতিযোগিতার বিজয়ী নির্বাচিত হন তিনি।
ইপিআইয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এছাড়া দ্য সান ও দ্য অস্ট্রেলিয়ানের প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউপিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দুই বছর আগে প্রথম নিজ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল গটল্যান্ড মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ। এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে জয়ী হন অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্যাথলিন মারে।
পুরস্কার হিসেবে মারেকে দেওয়া হয়েছে একটি টি-শার্ট। যাতে লেখা রয়েছে, ‘বিশ্বের কুৎসিত আঙিনার গর্বিত মালিক’। ক্যাথলিন মারে তাঁর যে অপরিচ্ছন্ন আঙিনার জন্য পুরস্কার জিতেছেন, ওই আঙিনায় ইঁদুরের গর্তের ছড়াছড়ি। নিয়মিত পানি না দেওয়ায় আঙিনার ঘাস, লতাপাতা ও গাছপালা বিবর্ণ হয়ে গেছে।
বিজয়ী মারে বলেন, ‘ইঁদুরগুলো আমার আঙিনার ভয়াবহ অবস্থা করার পর পরিষ্কার করা কমিয়ে দেই। পরে দেখি তারা আমাকে আঙিনা পরিষ্কারের কষ্ট থেকে মুক্ত করেছে। অনেক দিন ধরে আঙিনা পরিষ্কার করা ছেড়ে দিয়েছি। বিশেষ করে ২০১৬ সালে আমার সাবেক স্বামী ঘাস কাটার যন্ত্রটি নিয়ে যাওয়ার পর থেকে।’
কুৎসিত আঙিনা প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য, গটল্যান্ড শহরের বাসিন্দাদের পানি সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা। বছর তিনেক আগে গটল্যান্ড ভয়াবহ পানি সংকটে পড়েছিল। এরপর এমন ব্যতিক্রম প্রতিযোগিতার আয়োজনের ধারণা আসে কর্তৃপক্ষের মাথায়। গটল্যান্ড শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই প্রতিযোগিতা ও কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে পানির ব্যবহার ৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে।