বুদ্ধিমানরা যেসব বিষয় নিয়ে তর্ক করেন না

উচ্চ আইকিউ যেমন একজন ব্যক্তিকে বুদ্ধিমান করে তোলে, তেমনি উচ্চ ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EQ) সেই বুদ্ধিমত্তাকে পূর্ণতা দেয়। প্রকৃত বুদ্ধিমান মানুষরা জানেন, প্রতিটি বিষয়ে মতবিরোধে জড়ানো বা সব তর্ক জেতার প্রয়োজন নেই। তারা বোঝেন, সবকিছুর জবাব দিলেই সময় ও মানসিক শক্তির অপচয় হয়। কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া কিংবা উপেক্ষা করাই হয় সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন বিষয় নিয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সাধারণত তর্কে জড়ান না—
১. অন্যের বিশ্বাস বদলানোর চেষ্টা
ধর্ম, রাজনীতি কিংবা ব্যক্তিগত মূল্যবোধ—এসব সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে বুদ্ধিমানরা তর্কে জড়াতে চান না। তারা জানেন, কারও দৃষ্টিভঙ্গি তখনই বদলায় যখন সেই ব্যক্তি নিজেই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হন। তাই তারা বিতর্কের চেয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাকে গুরুত্ব দেন এবং আলোচনার বিষয় পরিবর্তন করাকেই বেছে নেন।
২. ছোট ছোট ভুল নিয়ে তর্ক
নিজেকে সবসময় সঠিক প্রমাণ করার প্রয়োজন বোধ করেন না বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা। অন্যের সামান্য ভুলকে তুলে ধরে অপমান করার চেয়ে, তারা বিষয়টি উপেক্ষা করেন—যাতে সম্পর্ক ভালো থাকে ও পারস্পরিক সম্মান অটুট থাকে।
৩. শুধু জেতার জন্য তর্ক করা
বুদ্ধিমানরা তর্কের আসল উদ্দেশ্য বোঝেন। তারা জানেন, প্রতিটি লড়াইতে জেতা জরুরি নয়। অর্থহীন আলোচনায় নিজেদের সময় ও আবেগ ব্যয় না করে, তারা শান্ত থেকে প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় আলোচনায় অংশ নিতে পছন্দ করেন। তাদের কাছে বোঝাপড়াই বড়, আধিপত্য নয়।
৪. অতীত নিয়ে লড়াই
পেছনের ভুল কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে বারবার কথা বলাকে ফলপ্রসূ মনে করেন না তারা। বুদ্ধিমানরা বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিকে নজর রাখেন। অতীত নিয়ে আলোচনা হয় তখনই, যখন তা থেকে কিছু শেখার থাকে। অন্যথায়, যা বদলানো সম্ভব নয়, তার পেছনে সময় ও শক্তি ব্যয় করা এড়িয়ে চলেন।
সব মিলিয়ে, বুদ্ধিমান মানুষেরা জানেন কখন চুপ থাকতে হয়, কখন কথা বলতে হয়—এটাই তাদের প্রকৃত শক্তি।