ভারতের সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। কথিত সংখ্যালঘু অত্যাচার ইস্যুতে সরব মোদির বিজেপি সরকার। এ নিয়ে গতকাল আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী-হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে দেশটি। যদিও এই হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারত। তবে এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া নামে এক আইনজীবী।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী রিটটি দায়ের করেন। চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬-এর ২৯ ধারা মোতাবেক ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনসহ(বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি বাংলা, রিপাবলিক বাংলাসহ সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চাওয়া হয়েছে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন উসকানিমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় চ্যানেলে বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠান অবাধ সম্প্রচারের ফলে যুব সমাজ ধ্বংসের সম্মুখীন। চ্যানেলগুলো কোনো আইন মানছে না। এসব কারণে ভারতীয় সব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চাওয়া হয়েছে।