চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক   নিজস্ব প্রতিবেদক  
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৬ PM

চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি কনটেইনারে আমদানিকৃত প্রায় ৬০ হাজার ৪৮০ কেজি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও আমদানি নিষিদ্ধ কৃত্রিম মিষ্টিকারক সোডিয়াম সাইক্লামেট (ঘনচিনি) আটক করেছে কাস্টমস হাউস।

কাস্টমস সূত্র জানায়, চালানটি আমদানি করেছে রাজধানীর মতিঝিলের প্রতিষ্ঠান এইচ পি ইন্টারন্যাশনাল। তারা চীন থেকে সোডা অ্যাশ লাইট আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। গত ১৬ আগস্ট কনটেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। পরে সেগুলো নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকার গোল্ডেন কনটেইনার ডিপোতে নেওয়া হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস কনটেইনারগুলোর খালাস স্থগিত করে। এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, ডিপো কর্তৃপক্ষ এবং সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা চালানো হয়।

পণ্যের নমুনা পাঠানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ল্যাব এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিজস্ব ল্যাবে। তিনটি পরীক্ষাগার থেকেই পণ্যটিকে ঘনচিনি হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির গণমাধ্যমকে জানান, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির তুলনায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। এটি মিষ্টান্ন, বেকারি পণ্য, জুস, আইসক্রিম, চকলেট ও শিশু খাদ্যে ব্যবহৃত হয়। তবে এটি মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। 

তিনি আরও জানান, জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ঘনচিনি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। আটক করা পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা, এবং প্রযোজ্য শুল্ক–করহার ৬১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এই চালানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে।