১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৩ PM

উদ্দীপনের ক্ষুদ্রঋণ নীতিমালা লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সচিব ও উদ্দীপন এনজিওর চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাসসহ ১৩ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক শোয়াইব ইবনে আলম দুটি ব্লক ও নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ড. আবু জামিল ফয়সাল, শওকত হোসেন, রেজা সেলিম, মো. তৈয়বুল হক, রেহানা বেগম, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক (সিইও) ও মেম্বার সেক্রেটারি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, 'উদ্দীপনের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারসহ অন্যান্য সদস্যরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এমআরএ আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে উদ্দীপনের ক্ষুদ্রঋণ তহবিল থেকে বিনিয়োগ বা খরচের নামে অর্থ প্রদান করেছেন। এর ফলে তারা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধে সংশ্লিষ্ট হয়েছেন। বর্তমানে এই জালিয়াতির সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।'

এতে আরও বলা হয়, 'বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়- আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের বিদেশগমন রহিতকরণ ও এনআইডি ব্লক করা একান্ত প্রয়োজন।'

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল মিহির কান্তিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদক ৬টি মামলা দায়ের করে। মামলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এর আগে ১৬ জুন মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

মিহির কান্তি মজুমদার ২০১১ থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৩ সালের ১৩ মে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।