নির্বাচন প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
-1290828.jpg?v=1.1)
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নতুন ধারার রাজনৈতিক ব্যবস্থার চারপাশে বিস্তৃত জাতীয় ঐকমত্য তুলতে আমরা কাজ করছি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের আয়োজিত 'জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট—এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সকল বাংলাদেশি শান্তিতে, গর্ব ও মর্যাদার সঙ্গে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারবেন।"
এরপর তিনি বলেন, "আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের সংস্কার এজেন্ডার পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার কাজও চালিয়ে যাচ্ছি।"
ন্যায়বিচার কেবল শাস্তির বিষয় নয় বলে জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "ন্যায়বিচারের আরও অর্থ হলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাতে আর কখনো জনগণকে দমন-পীড়নের জন্য ব্যবহার না করা যায়, তা নিশ্চিত করা।"
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার কথা স্মরণ করেন ড. ইউনূস বলেন, "তাদের ত্যাগ আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। তারা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে গেছেন, যার ভিত্তি হলো আশা, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণ।'"
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ঘটনার তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধানের জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করে।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘ আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা আগামী দিনে এগিয়ে যেতে তাদের সহযোগিতার প্রত্যাশায় রয়েছি।