ট্রাম্পের নির্দেশনার পর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক ধরপাকড়
ক্ষমতায় ফিরে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। গত কয়েকদিনে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ বিভাগের (আইসিই) নেতৃত্বে ব্যাপক ধড়পাকড় অভিযান চলছে। ২৬ জানুয়ারি রবিবার এক দিনে অন্তত ৯৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সবচেয়ে বড় অভিযান হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
এছাড়া, ২৫ জানুয়ারি ২৮৬ জন, ২৪ জানুয়ারি ৫৯৩ জন, এবং ২৩ জানুয়ারি ৫৩৮ জন গ্রেপ্তার হন। এসব অভিযান শিকাগো, নিউআর্ক, মায়ামি, আটলান্টা, পুয়ের্তো রিকো, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, অস্টিন, টেক্সাসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পরিচালিত হয়। আইসিই জানিয়েছে, এই অভিযান আরও কিছুদিন চলবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিবাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে ২১টি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। শিকাগোতে পরিচালিত অভিযানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ট্রাম্পের সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোমান।
তবে এই কঠোর পদক্ষেপে ডেমোক্র্যাট নেতারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। শিকাগো শহরের মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন আইসিইয়ের অভিযানের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, শিকাগো পুলিশ এতে অংশ নেয়নি এবং বাসিন্দাদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
মায়ামিতে, আইসিই একাধিক অভিযান পরিচালনা করে এবং শহরের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন জানায় যে, অভিযানে অভিবাসীদের আটক করা হয়। এক ব্যক্তি জানান, তার স্ত্রী নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলেন, কিন্তু আইসিই তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
নিউ ইয়র্কের মেয়র রাস বারাকা বলেন, একটি স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আইসিই অভিযান চালিয়ে অবৈধ অভিবাসী এবং সাবেক এক সেনাকে আটক করেছে। তিনি এই ধরনের অভিযানকে ভয়ংকর এবং আতঙ্ক সৃষ্টিকারী হিসেবে উল্লেখ করেন।
আইসিই প্রধান টম হোমান জানান, এই অভিযানে শুধু অপরাধী অভিবাসীদেরই নয়, নথিবিহীন অভিবাসীদেরও বহিষ্কৃত করা হবে। তবে, অভিবাসন অধিকারকর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, অভিযানের সময় বৈধ নাগরিকসহ অন্যরাও ভুলবশত আটক হতে পারেন।