প্রতিবেশী কূটনীতিতে চীন বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন তার প্রতিবেশী কূটনীতিতে সবসময় বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয় এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য সুপ্রতিবেশী নীতি মেনে চলে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেইজিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। 

চায়না ডেইলির প্রতিবেদনে জানা যায়, তৌহিদ হোসেন চার দিনের সফরে সোমবার রাতে বেইজিংয়ে পৌঁছান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এটি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফর।

ওয়াং ই বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চীন বাস্তবসম্মত সহযোগিতা গভীর করতে এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, তৌহিদ হোসেনের চীনকে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য বেছে নেওয়ার বিষয়টি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন নিজে ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে আধুনিকীকরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে। তিনি তৌহিদ হোসেনকে ছোট-বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মানুষের আয় বাড়ানোর জন্য সমন্বয় করার আহ্বান জানান।

এ বছর চীন-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বছর হিসেবে পালিত হচ্ছে। ওয়াং ই চীনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে এবং কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারিত্ব এগিয়ে নিতে চীন প্রস্তুত।

উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন চীনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় এবং এক-চীন নীতির প্রতি দেশের দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফোরামে আরও সক্রিয় হতে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহী।

এছাড়া, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চীনের সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই করেছিল।