সব ধরণের বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ করল ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শপথ গ্রহণের পর ৯০ দিনের জন্য সব ধরনের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) তিনি একটি নির্বাহী আদেশে এ সিদ্ধান্ত নেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের এই আদেশের ফলে মার্কিন তহবিলের ওপর কী প্রভাব পড়বে তা স্পষ্ট নয়। কারণ অনেক সহায়তা কর্মসূচি ইতোমধ্যে কংগ্রেস থেকে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে এবং কিছু তহবিল বিতরণ বা ব্যয়ও হয়ে গেছে।
এই নির্বাহী আদেশের পাশাপাশি ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার, বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নিয়েছেন। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন না করলে কোনো বৈদেশিক সহায়তা দেওয়া হবে না।
বৈদেশিক সহায়তার ন্যায্যতা সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সিনেটে আলোচনা করেছিলেন এবং তিনটি মূল প্রশ্ন তুলে ধরেন: এটি কি যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করে তোলে? এটি কি যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে? এটি কি যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সমৃদ্ধ করে?
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রায় এক শতাংশ বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকে। যদিও ট্রাম্প নিয়মিতভাবে বৈদেশিক সহায়তার সমালোচনা করেছেন, ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে কিয়েভে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ডিসেম্বরে বাইডেন প্রশাসন ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে বিভিন্ন খাতে ৬,৮০০ কোটি ডলার বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে ইসরায়েল, মিশর এবং জর্ডান মূল সহায়তা প্রাপক। তবে ট্রাম্পের সরকারের সঙ্গে এই দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি থাকার কারণে সেগুলিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে হচ্ছে না।