২১ অক্টোবর থেকে লেবাননে থাকা বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তন শুরু করবে সরকার
ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি লেবাননেও পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। এ অবস্থায় লেবানন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও লেবানন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন শুরু করতে যাচ্ছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছে। প্রথম দফায় আগামী ২১ অক্টোবর ৫৩ জন বাংলাদেশির দেশে প্রত্যাবর্তন করার কথা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদের দেশে প্রত্যাবর্তন করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় লেবানন থেকে দেশে ফেরার জন্য বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন প্রায় ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি। তাদের পর্যায়ক্রমে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুব দ্রুতই প্রথম দফায় ৫০ এর বেশি বাংলাদেশিকে দেশে প্রত্যাবর্তন করার কথা রয়েছে।
ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় ৫৩ জন বাংলাদেশি ফেরত আসবে। পর্যায়ক্রমে বাকিদের দেশে আনা হবে।
বাংলাদেশিদের ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, সম্ভাব্য যে কটি পথে বাংলাদেশিদের ফেরত আনা যায় সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথম দফায় যে দলটি ফিরবে তাদের লেবানন থেকে জেদ্দায় নেওয়া হবে। পরে জেদ্দা থেকে ঢাকায় আনা হবে।
জানা গেছে, লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে প্রথমে আহত, অসুস্থ, নারী ও শিশুরা আসবে। পরে পর্যায়ক্রমে সবাইকে নিয়ে আসা হবে।
বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, লেবানন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। আহত বাংলাদেশিরা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছেন।