লেবানন থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীদের সরিয়ে নিতে বললো নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ধ্বংস করার নামে সাধারণ জনগণকে গণহত্যা করার পর এবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে ধ্বংসের নামে সাধারণ জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। শুধু তাই নয় দেশটিতে থাকা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে দেশটি। এবার লেবাননে শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্বরত সব সেনাকে সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) ইংরেজি ভাষায় দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে গতকাল বাংলাদেশসহ ৪০টি দেশ শান্তিরক্ষীদের ওপর দখলদার ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়। এরপরই নেতানিয়াহু এসব শান্তিরক্ষীকে সরিয়ে নিতে বললেন।
নেতানিয়াহু বলেন, “জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে বলছি, ইউএনআইএফআইএলের (শান্তিরক্ষী) সেনাদের হিজবুল্লাহর অবস্থান এবং যুদ্ধ চলা এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার এখনই সময়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বারবার এই অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকবার এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। যার লক্ষ হলো হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসীদের মানববর্মের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “মাননীয় মহাসচিব এখনই শান্তিরক্ষীদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিন। দ্রুতসময়ে তাদের সরানোর এখনই সময়। আপনি সেনাদের সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদের হিজবুল্লাহর জিম্মি বানাচ্ছেন। এটি শান্তিরক্ষী এবং আমাদের সেনা উভয়ের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে।”
গত কয়েকদিনে শান্তিরক্ষীদের অবস্থান লক্ষ্য করে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এতে বেশ কয়েকজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। শান্তিরক্ষীরা আহত হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে।
লেবাননে জাতিসংঘের মোতায়েন করা সেনারা আহত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, “শান্তিরক্ষীরা আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে তার সবই করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। তবে এর সবচেয়ে সহজ এবং স্পষ্ট উপায় হচ্ছে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করুন।”
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল