নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ
কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিলো। মাঝে গাজা যুদ্ধের পর কিছুদিন বন্ধ হয়ে যায়। তবে টানেল থেকে ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর ইসরায়েলেজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে জিম্মিদের জীবীত উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাজধানী তেল আবিব ও অন্যান্য বড় বড় শহরে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অভিযোগ, হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের উদ্ধারে চুক্তি করতে ইসরায়েলি সরকার যথেষ্ট আন্তরিক নয়। সরকার জিম্মিদের জীবীত উদ্ধারে ব্যর্থ হচ্ছে।
অবিলম্বে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে জিম্মিদের জীবীত উদ্ধারের দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা নিহত জিম্মিদের ছবি নিয়ে তেল আবিবের প্রধান মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে জেরুজালেমের রাস্তাও।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওদে দেখা গেছে, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তেল আবিবের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করছের হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া বিক্ষোভস্থল থেকে অন্তত ২৯জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ‘কমপ্লিট স্ট্রাইক’ বা সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের শ্রমিক ইউনিয়ন হিস্টাড্রুট। আজ সোমবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হচ্ছে এই ধর্মঘট।
হিস্টাড্রুটের প্রধান আর্নন বার-ডেভিড বলেন, ‘এটি একটি ব্যর্থ সরকার। এই সরকার এখনো জিম্মিদের জীবিত ফেরত আনতে পারেনি। ইসরায়েলকে এখনই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য আমাদের একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। এই মুহূর্তে চুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ চুক্তির বদলে আমরা পাচ্ছি মৃতদেহ।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলার পর ইসরায়েল জানিয়েছিল, তাদের অন্তত ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে হামাস।