জাতিসংঘে নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠার পরই বের হয়ে গেছেন অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু সরকার। দীর্ঘ ১১ মাসের অধিক সময় ধরে চলে হামলায় ৪১ হাজার ৪০০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত্য হয়েছেন। এদিকে নতুন করে লেবাননেও পুরোদমে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এই পরিস্থিতির মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি মঞ্চে ওঠার পরই সেখানে উপস্থিত অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা বের হয়ে গেছেন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি এ ভাষণ দেন। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলো এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে তুরস্কের স্থায়ী দূত অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এরপর একে একে তার পেছনে অন্যরাও বের হয়ে যেতে থাকেন।
নেতানিয়াহু প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেন। ওই সময় তিনি হামাস ও হিজবুল্লাহকে নিয়ে আলোচনা করেন। নেতানিয়াহু বলেন, যতদিন পর্যন্ত তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন না করবেন ততদিন যুদ্ধ অব্যাহত রাখবেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যানে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, নেতানিয়াহু ৪১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। তার জাতিসংঘে ভাষণ নয় কারাগারে থাকা উচিত।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আরব বিশ্বের প্রতিনিধিরাও নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে গেছেন।
সাধারণ পরিষধের সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, নেতানিয়াহু বক্তব্য শুরু করার পর অধিবেশন কক্ষের বেশিরভাগ আসনই খালি পড়ে আছে।