গাজায় যুদ্ধ না থামালে ইসরায়েলিরা বাড়ি ফিরতে পারবে না: হিজবুল্লাহ
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচার, নির্মম, বর্বর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। মূলত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায়। ওইদিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। এরপর এই যুদ্ধে পরেরদিন থেকে যুক্ত হয় লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহর হামলার কারণে দখলদার ইসরায়েলকে তাদের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হয়। গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় ওই ইসরায়েলিরা এখনো অন্য জায়গায় থাকছেন।
হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি নাঈম কাসেম শনিবার জানিয়েছেন, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করলে উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলিদের তাদের বাড়িতে ফিরতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যদি উত্তরাঞ্চলে তাদের নাগরিকদের ফেরাতে চায় তাহলে আগে গাজায় যুদ্ধ থামাতে হবে।
হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েল যতদিন গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে হিজবুল্লাহও ততদিন ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেছেন, “গাজা যুদ্ধ যতদিন চলবে লেবাননের সহায়তাও অব্যাহত থাকবে। আর এই সহায়তার তীব্রতা বেড়েছে কারণ ইসরায়েল আগ্রাসন বাড়িয়েছে। যুদ্ধ বন্ধ না করা ছাড়া অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের (ইসরায়েলি) বাড়িতে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।”
এদিকে শনিবার ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১১ মাসের অধিক সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার একশত এর অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯৫ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি এই গণহত্যার পরেও পশ্চিমারা একপ্রকার মুখে কুলুপ এটে দিয়েছে। মানবতার সবক শেখানো পশ্চিমারা গাজার বেসামরিক নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের দেখে নিশ্চুপ। বরং অস্ত্র, অর্থ এমনকি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে।
আল জাজিরা