গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪১ ফিলিস্তিনি নিহত; মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪১ হাজার
যত দিন যাচ্ছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দখলদার ইসরায়েলি নৃশংসতায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন বেসামরিক মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদাররা। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ৪১ হাজারে।
আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় শনিবার গাজায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন নারী এবং দুই শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬১ জন নিহত এবং আরও ১৬২ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৯৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ।
দখলদারদের এমন বর্বর হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের বলছে, গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সবাই খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে গাজায় এতো মানুষের মৃত্যুর পরেও এটাকে গণহত্যা বলতে নারাজ ইসরায়েলি সমর্থনগোষ্ঠী ও পশ্চিমারা। ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলায় ১২০০ লোক নিহত হলে সেটাকে সন্ত্রাসী হামলা বললেও ৪১ হাজার মানুষকে হত্যা করার পরেও যেখানে অধিকাংশই নারী ও শিশু, এটাকে সন্ত্রাসী হামলা বা গণহত্যা বলতে নারাজ পশ্চিমারা। বরং ইসরায়েলি হামলাকে পুরোদমে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। আর এই হত্যাকাণ্ডকে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার বলে সেই পুরনো একঘেয়েমি যুক্তি দিয়ে যাচ্ছে দেশগুলি।