গাজায় গণহত্যা: প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ব্রাজিলের
গত ৭ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। দীর্ঘদিন ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যার কঠোর সমালোচনা করে আসছিল দেশটি। এ নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন উত্তেজনার মধ্যেই রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল ব্রাজিল।
বুধবার (২৯ মে) এ বিষয়ে সরকারি একটি গেজেট জারি করেছে ব্রাজিল সরকার। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বড় সমালোচক লুলা। এ বছরের শুরুতে ইসরায়েলি হামলাকে হলোকাস্টের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। তার এমন মন্তব্যের পর ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতকে জনসাধারণের সামনে তিরস্কার করতে জেরুজালেমের জাতীয় হলোকাস্ট জাদুঘরে তলব করেছিলেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ। এ ছাড়া ইসরায়েলে লুলাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছিল।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের দেশের রাষ্ট্রদূতকে অপমান করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানাশোনা থাকলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা বলেছেন তিনি। কারণ, গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি নেই তার।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইয়েকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। সেই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরাইল। ইতোমধ্যে ছোট এ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
সূত্র: এপি, আল-জাজিরা