সোহাগ হত্যার সেই পাথর নিক্ষেপকারী গ্রেপ্তার
-1160959.jpg?v=1.1)
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ৯ জনকে আটক করা হলো।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশ এখনও ওই আসামির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি।
ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ইটবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ডিবি পুলিশের একটি দল সোহাগ হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এ মুহূর্তে তার নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে গত ৯ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মামলা করেন।
এরপর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এরপর শুক্রবার কেরানীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শুক্রবার গভীর রাতে টিটন গাজী (৩২) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার রাতে কাজী নান্নুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর নিক্ষেপকারীকে গ্রেপ্তাররের মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির সংখ্যা ৯ জন।