পদত্যাগ করলেন স্টকটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফাস্ট মিনিস্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫ PM

স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ফাস্ট মিনিস্টার হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত হামজা ইউসুফ। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায় পদত্যাগ করলেন তিনি। গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংসবাদ সম্মেলন করে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্কটল্যান্ডের এই প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল সকাল থেকেই হামজা ইউসুফের পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে গুঞ্জন সত্যি করে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামজা ইউসুফ ২০১১ সালে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) টিকিট নিয়ে প্রথমবারের মতো স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি ক্রমান্বয়ে ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী, পরিবহনমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০২৩ সালে তৎকালীন ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলে হামজা ইউসুফকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

গত সপ্তাহে স্কটিশ গ্রিন পার্টির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর থেকে চাপে ছিলেন এই নেতা। স্কটিশ পার্লামেন্টে বিরোধী দল দুটি আস্থা ভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে।

প্রধান দলগুলোর প্রিসাইডিং অফিসার এবং এমএসপিদের সমন্বয়ে গঠিত সংসদীয় ব্যুরো এই সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেবে কখন ভোট হবে। সাধারণত দুই দিন আগে ভোটের নোটিশ দেওয়া হয়। এর আগেই হামজা ইউসুফের পদত্যাগের গুঞ্জন উঠল।

পূর্ব লোথিয়ানের সংসদ সদস্য কেনি ম্যাকআস্কিল বলেন, ‘ইউসুফ পদত্যাগ করলে একটি ‘‘অবাস্তব পরিস্থিতি’’ তৈরি হতে পারে।’

গত বছরের মার্চে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হন হামজা ইউসুফ। স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ ফার্স্ট মিনিস্টার তিনি। জাতিগত সংখ্যালঘুদের থেকে নির্বাচিত প্রথম ফার্স্ট মিনিস্টারও তিনি। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৩৭ বছর বয়সী হামজা সবচেয়ে কম বয়সী ফার্স্ট মিনিস্টার। এ ছাড়া প্রথম মুসলিম হিসেবে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাও তিনি।

যদিও অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, ইসরায়েল-হামাস ইস্যু নিয়ে কড়া মন্তব্য করে আসছিলেন মুসলিম এই ফাস্ট মিনিস্টার। এর ফলে ইহুদিবাদী লবি তার বিরুদ্ধে কাজ শুরু করে দেয়। এজন্যই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন বলে ধারণা।