গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে সৌদিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দীর্ঘ ছয় মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের অমানবিক হামলায় উপত্যকাটিতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি রিয়াদে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক সৌদি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছে, সৌদি আরবের পাশাপাশি আরব বিশ্বের আরও চারটি দেশের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন। যুদ্ধের পর গাজার শাসন ব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে কাতার, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্লিঙ্কেন আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পরে তিনি ইসরায়েল সফর করবেন বলেও জানান ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় অংশই বেসামরিক সাধারণ মানুষ। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা ক্রমে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আর তার সহায়তাকারী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনও পড়ে সমালোচনার খড়্গে। বিষয়টি এমনকি মার্কিন প্রশাসনের ভেতরেও প্রভাব বিস্তার করে। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যে বড় ধরনের অস্বস্তি দেখা দেয়। কয়েকজন পদত্যাগ করেন। এমনকি কিছু কর্মকর্তা সরাসরি সংবাদমাধ্যমে উপস্থিত হয়ে আমেরিকার ইসরায়েল–নীতির সমালোচনা করেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ মার্চ সৌদি আরব ও মিশরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে ছুটে যান অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ওই সফরেও তিনি দ্রুততম সময়ে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং গাজার পরবর্তী শাসন কেমন হবে, তা নিয়েও আলোচনা করেছিলেন অ্যান্টটি ব্লিঙ্কেন।