প্রথমবার গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের অমানবিক হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) নিরাপত্তা পরিষদের এক ভোটাভুটিতে এ সম্পর্কিত প্রস্তাবটি পাস হয়।
এ ছাড়া প্রস্তাবে অবিলম্বে ও নিঃশর্তে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি রাষ্ট্র প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যদিও অতীতে তিনবার ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক্স বার্তায় বলেছেন, এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। ব্যর্থতা হবে ক্ষমার অযোগ্য।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব হলো আন্তর্জাতিক আইন। জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র তা মেনে চলতে বাধ্য।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। ওইদিন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা।
হামাসের ওই হামলার পর গাজায় অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৩৩৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৬৯৪ জন মানুষ।
গাজায় চলমান এই গণহত্যায় ইসরায়েলকে সরাসরি অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানির মতো পশ্চিমা দেশগুলো। যদিও দেশগুলোর নেতারা কয়েকবার গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া বেসামরিক নিহতের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে তাগিদ দিয়েছে, তবে এসব আহ্বানে কর্ণপাত করেনি নেতানিয়াহু সরকার।
সূত্র : আল জাজিরা