এবার গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলার ঘোষণা বাইডেনের
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের নৃশংস হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০২২৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭০ হাজার ৩২৫ জন। এছাড়া গাজার ত্রাণ সহায়তা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট সবকিছু সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ফলে গাজার প্রায় ২২ লাখ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। উপত্যকাটির প্রায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ।
এদিকে গাজার অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলেছেন জর্ডান ও ফ্রান্স। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিরে গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে।
ত্রাণ বহরে হামলায় একশ’রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার একদিন পর শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।
হোয়াইট হাউসে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের বাইডেন আরও বলেছেন, আমাদের আরও কিছু করা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু করবে।
তিনি বলেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা জর্ডানসহ আমাদের অন্য বন্ধুদের সাথে মিলিত হবো এবং অতিরিক্ত খাদ্যসহ অন্যান্য ত্রাণ গাজায় ফেলা শুরু করবো।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে ভূ-খণ্ডটিতে প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় এখন চলছে তীব্র মানবিক সংকট।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনাও অব্যাহত রয়েছে। বাইডেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।
কিন্তু যুদ্ধবিরতির এই আলোচনায় জটিলতা তৈরি হয়েছে বৃহস্পতিবারের ঘটনার কারণে। এই দিন ফিলিস্তিনিরা ত্রাণ বহরের দিকে ছুটে যাওয়ার সময়ে ইসরায়েলি হামলায় একশ’রও বেশি লোক নিহত হয়।
এদিকে, জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি।
তিনি বলেছেন, আমরা এখনও ইসরায়েলকে তাদের আত্মরক্ষার স্বার্থে সাহায্য করছি।
সূত্র : রয়টার্স।