এবার গাজায় গণহত্যার অভিযোগে জার্মান চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৮ PM

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে কেউই। নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ২৯ হাজার ৫১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। গাজায় এই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করে যাচ্ছে ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বৃটেন, জার্মানিসহ পশ্চিমা আরও অনেক দেশ। গাজায় এই গণহত্যার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসসহ দেশটির সিনিয়র রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন একদল আইনজীবী। জার্মান ফেডারেল প্রসিকিউটর বরাবর তারা এই মামলাটি দায়ের করেছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

চ্যান্সেলর শলৎস ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক, অর্থনীতিমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক, অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার ও অন্যদের এই মামলায় অভিযুক্ত করা হবে। এ ছাড়া জার্মান জাতীয় নিরাপত্তা নীতিনির্ধারণ ও অস্ত্র রপ্তানি অনুমোদনকারী ফেডারেল নিরাপত্তা পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হবে।

ইসরায়েলের হামলায় ‘মৃত্যুপুরী’ গাজায় পরিবার রয়েছেন এমন অন্তত দুজন ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন মামলাটি দায়ের করা আইনজীবীরা। তাদের একজন হলেন ফিলিস্তিনি-জার্মান অভিবাসন পণ্ডিত নোরা রাগাব।

এক বিবৃতিতে রাগব বলেছেন, আমরা অভিবাসী ফিলিস্তিনিরা আমাদের পরিবার ও আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার পাশে দাঁড়াব না। আমরা এই গণহত্যা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব না। এর ইতি টানতে আমরা আমাদের সবকিছু ব্যবহার করব। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যায় জড়িত থাকার জন্য আমরা জার্মান সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস। তাদের হামলায় এক হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। হামাসের হামলার জবাবে ওইদিনই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।