আবারও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অমানবিক ও নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় গাজা মৃত্যুর মিছিল ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ। তবে এমন মানবিক বিপর্যয়ের পরেও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা নতুন একটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে আমেরিকা। গতকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পরিষদে আলজেরিয়ার উত্থাপন করা ওই খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছিল।
বিবিসি জানায়, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা নতুন এই খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দেবে এর ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৩টিই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো প্রসঙ্গে আমেরিকার ভাষ্য, আলজেরিয়ার প্রস্তাব যুদ্ধ সমাপ্তির আলোচনা ভেস্তে দেবে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব পাস করার জন্য ১৫ সদস্য দেশের অন্তত ৯ সদস্যের ‘হ্যাঁ’ ভোট প্রয়োজন। স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া যদি ‘না’ ভোট দেয় তাহলে প্রস্তাব পাস হবে না। স্থায়ী সদস্যদের না ভোটকে ভেটো বলা হয়।
এদিকে ওইদিন নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকাও। এতে সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের নিজেদের আনা ওই প্রস্তাবনায় গাজার রাফাহ শহরে স্থল অভিযান না চালাতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া সব জিম্মির মুক্তি এবং গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাধা তুলে নেওয়ার শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আমেরিকার খসড়া প্রস্তাবের ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা আর জিম্মি করে ২৫৩ জনকে। এ ঘটনার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকায় ২৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার।