ইমরান খানকে সাইডে রেখেই কাল পাকিস্তানে নির্বাচন
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকার বেছে নেবেন ১২ কোটি ৮০ লাখ পাকিস্তানি ভোটার। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আইনসভার জন্য ৫ হাজার ১২১ জন এবং প্রাদেশিক আইনসভার জন্য ১২ হাজার ৬৯৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে দেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার দল পিটিআইকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। চার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ইমরানকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে পিটিআই ও ইমরান-সমর্থকদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এসব সাজা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কারাগারে বন্দি তিনি। ফলে নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে ভোটে কারচুপি নিয়ে আশঙ্কা ও উদ্বেগ তত বাড়ছে।
ইতোমধ্যে নির্বাচন-পূর্ববর্তী সময়ে বিরোধী দল পিটিআইয়ের নেতাকর্মীদের নিশানা করে ক্রমাগত হয়রানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। ভোটের আগে আমরা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাই। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অর্থবহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন নিয়ে দেশটির অনেক জায়গায় সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে থানায় হামলা, প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা, ৮ জায়গায় গ্রেনেড হামলা, নির্বাচন কমিশনের সামনে বোমা বিষ্ফোরণ উল্লেখযোগ্য।