গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৮ মাস জেল খেটে মুক্তি পেল কবুতর
![কবুতর](https://citizenjournal24.com/resources/img/article/202402/94537_157.jpg?v=1.1)
আট মাস আগে মুম্বাইয়ে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েছিল একটি কবুতর। পরে ওই কবুতরটিকে চীনা গুপ্তচর হিসেবে অভিযুক্ত করে বন্দি করে রাখে ভারত। দীর্ঘ আট মাস পর বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘পিপল ফর দি ইথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেলস’ (পিইটিএ) নামে একটি ভারতীয় সংগঠনের হস্তক্ষেপে কবুতরটিকে মুক্তি দেয়া হয়।
আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ'এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এছাড়া নিউ ইয়র্ক টাইমস, ডন, নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের মে মাসে মুম্বাইয়ের চেম্বুরে পির পাউ জেটির কাছে কবুতরটিকে আটক করেছিল স্থানীয় পুলিশ। পরে তারা ওই কবুতরের ডানায় সাংকেতিক অক্ষরে লেখা একটি বার্তা আবিষ্কার করে। সন্দেহ করা হয়, চীনের ভাষায় লেখা হয়েছে সেই বার্তাটি।
এ অবস্থায় পায়ে তামা ও অ্যালুমিনিয়ামের দুটি রিংসহ কবুতরটিকে ‘গুপ্তচর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তদন্তের জন্য মুম্বাইয়ের প্যারেলে অবস্থিত একটি পশু হাসপাতালের অধীনে এটিকে রাখা হয়।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কবুতরটিকে ওই হাসপাতালেই একটি খাঁচার মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়েছিল এবং এটির বিরুদ্ধে মামলা চলমান ছিল।
বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কবুতরটিকে নিয়ে তদন্ত চলার সময় পুলিশের ধারণা হয়-এটি সম্ভবত তাইওয়ানের একটি রেসিং কবুতর। রেস করতে গিয়েই পথ হারিয়ে এটি মুম্বাইয়ে চলে এসেছে।
পরে সন্দেহজনক গুপ্তচর হিসেবে মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ হলেও কবুতরটি সেই হাসপাতালেই বন্দি ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে কবুতরটির মুক্তির জন্য এগিয়ে আসে পিইটিএ কর্তৃপক্ষ। সংগঠনটির নেতা সালোনি সাকারিয়া কবুতরটিকে আটক করা থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এটিকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন।
দুই পক্ষের আলোচনার পর কবুতরটিকে ছেড়ে দিতে রাজি হন পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা ওই পশু হাসপাতালকে একটি অনাপত্তি সনদ (এনওসি) প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় হাসপাতাল চত্বর থেকে পশুপ্রেমীদের একটি ছোট সমাবেশ ও উল্লাসের মধ্য দিয়ে কবুতরটিকে ছেড়ে দেয়া হয়।