চীন-রাশিয়ার জাহাজে হামলা না করার ঘোষণা হুতিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৮ AM

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় অমানবিক ও নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের এ হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় ইয়েমেনর হুতি বিদ্রোহীরা। তবে এই হামলা ক্রমেই বিতৃত হয়ে লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া প্রায় সকল জাহাজকে টার্গেট করা শুরু করে। তবে এবার লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা চীন ও রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজগুলো নিরাপদ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। 

একজন ঊর্ধ্বতন হুতি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গতকাল শুক্রবার রুশ সংবাদমাধ্যম ‘ইজভেস্তিয়া’য় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে হুতির জ্যোষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, শুধু ইসরায়েল ও তাঁর মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজগুলোতেই হামলা করা হবে। এ ছাড়া ইয়েমেনের আশেপাশের জলসীমায় চীন ও রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের জাহাজগুলো নিরাপদ থাকবে।

মোহাম্মদ আল-বুখাইতি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই অন্যান্য জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। কারণ ইয়েমেনের অর্থনীতির জন্য এ সমুদ্রসীমায় অবাধ নৌ-পরিবহনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে যেকোনোভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজগুলোয় হামলা অব্যাহত থাকবে।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছে ৬২ হাজারেও বেশি মানুষ। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এরপর থেকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েলগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা করতে শুরু করে।

হুতিরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনো জাহাজ যেন ইয়েমেনের জলসীমা অতিক্রম  করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা তারা করবে।

মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেন, ‘লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলার জন্য সংশ্লিষ্ট নৌ-পরিবহন সংস্থাগুলোই দায়ী। তাদেরকে ভিন্ন পথ ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা সেই নির্দেশনা মানেনি।’

হুতির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোনও জাহাজ ডুবিয়ে দিতে বা জব্দ করতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ইহুদি রাষ্ট্রের (ইসরায়েল) জন্য গাজা উপত্যকায় ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করাকে ব্যয়বহুল করে তোলা, যাতে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে।’