গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ২১ হাজার; আহাত ৫৫ হাজার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নৃশংস হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫৫ হাজার ২৪৩ জন।
সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে দ্য প্যালেস্টিনিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদরদপ্তরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ মনে করা হলেও ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্য থেকে বাদ পড়েনি।
বুধবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে ব্যাপক বিস্ফোরণ হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে শহরটি শহুরে যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তবে উত্তর গাজায় আবারও তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১১ জন আহত হয়েছে। শহরটিতে ঘরছাড়া অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
রেড ক্রিসেন্টের মূল ভবনের উপরের ফ্লোরে হামলা চালানো হয়। এতে পুরো ভবন এবং এর আশেপাশে স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার বাস্তূচ্যুত ফিলিস্তিনি ওই ভবনকে নিরাপদ ভেবে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া সংঘাত শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে পালিয়ে আসা লোকজনও ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন।
গত কয়েকদিনে সেখানে আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশ বাস্তূচ্যুত ফিলিস্তিনিই খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চল থেকে এসেছে। এদিকে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, সংস্থাটির উপরের ফ্লোরে ইসরায়েলি বাহিনীর কামানের গোলার আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
গাজায় বিপর্যয়কর মানবিক সংকট বিবেচনায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হলেও সেখানে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত সোমবার ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির এক সভায় নেতানিয়াহু জানান, সোমবার তিনি গাজা সফর করেছেন। সফরকালে তিনি ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা তাকে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এরপর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা থামছি না। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা আগামী দিনে হামলা আরও জোরদার হবে। এটি একটি দীর্ঘ যুদ্ধ হতে চলেছে। এই যুদ্ধ এখনো শেষের কাছাকাছি আসেনি।