১৯৬১ সালের পর রেকর্ড শীতে কাঁপছে চীন
তীব্র শীতে কাঁপছে চীনের রাজধানী বেইজিং। বেইজিংয়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর ও উত্তর পূর্ব চীনে যা নেমেছে মাইনাস ৪০ ডিগ্রিরও নীচে। ৭২ বছর পর আবার এমন শীতকাল দেখলো চীন। এমন হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন গবেষকরা।
দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই গোটা চীনজুড়ে চলছে শৈত্য প্রবাহ। ১৯৬১ সালের পর এ বছরের রেকর্ড ঠান্ডায় দেশটিতে বেড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা। চলতি ট্যুরিজম খাতে ভালো আয় হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে চীনের ট্যুরিজম একাডেমির কর্মকর্তা দাই বিন বলেন, এ বছর বেশি ঠান্ডা পড়ায় স্কিয়িং, স্নোম্যান বানানোর মতো ফান অ্যাক্টিভিটির দিকে ঝোঁক বেড়েছে পর্যটকদের। আশা করছি ৪শ’ মিলিয়ন মানুষ এবছর চীনের পর্যটন এলাকাগুলোয় ঘুরতে আসবেন। ইতোমধ্যেই উত্তর চীনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা।
তবে, শীতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রবল শীতে কোথাও কোথাও বিকল হয়ে গেছে হিটিং সিস্টেম। রাস্তাঘাট বরফে ঢেকে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, ঘটছে দুর্ঘটনাও। দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপের শঙ্কাও। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন প্রদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তবে ভয়াবহ এমন শীতের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন গবেষকরা।
সিঙ্গাপুরের আর্থ অবজারভেটরি’র ডিরেক্টর বেনজামিন পি হরটন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এতো শীত পড়েছে চীনে। কার্বনের ব্যবহার কমানো সম্ভব হলেই কেবল এই ধরনের বিপর্যয়কে ঠেকানো সম্ভব।
৭২ বছর পর এমন হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে দেশটিতে। এ বছর গ্রীষ্মেও স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি গরম দেখেছে বেইজিং। তাপমাত্রা ছুঁয়েছিলো প্রায় ৪০ ডিগ্রি।
সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, ডয়চেভেলে