এবার পশ্চিম তীরে মসজিদে ঢুকে ইহুদিবাদী সঙ্গীত গাইল ইসরায়েলি সেনারা
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও হানা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে হামাসের আধিপত্য নেই; বরং ফাতাহ নিয়ন্ত্রণ করে অঞ্চলটি। কিন্তু এরই মধ্যে অধিকৃত অঞ্চলটিতে অভিযান চালিয় ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও ৪ হাজারের অধিককে বন্দি করে নিয়ে গেছে। এবার ধর্মীয় অবমাননার চরম সীমা পার করলো দখলদার দেশটি।
ইসরাইলি সেনারা পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে অভিযান চালানোর সময় একটি মসজিদের লাউডস্পিকারে তাদের হানুকা প্রার্থনা সংগীত গেয়েছে। কোনো কোনো সেনা মসজিদের ভেতরে আজানের অনুকরণ করে ইহুদি প্রার্থনা সংগীত গায়।
অনলাইনে প্রচার হওয়া একটি ফুটেজে দেখা যায়, ইসরাইলি সেনারা হানুকা সংগীত গাইছে এবং ইহুদি প্রার্থনা 'শেমা ইসরাইল' (শোনো, হে ইসরাইল) গাইছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, সামাজিকমাধ্যমে প্রচার হওয়া ফুটেজে দেখা যায়, একটি মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করেছে ইসরাইলি সৈন্যরা। তাদের একজন মিনারে আজানের মতো করে ইহুদি প্রার্থনা সংগীত গাইছে।
আরেকটি ক্লিপে দেখা যায়, ইহুদি হানুকা উৎসের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি গান গাওয়া হচ্ছে। হিব্রুতে গাওয়া এই গান মসজিদটির মিনারে থাকা লাউডস্পিকারের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
আরেকটি ক্লিপে দেখা যায়, এক সেনা জনশূন্য মসজিদের মেঝেতে বসে মাইক্রোফোনে আজানের রীতিতে কথা বলছে। ওই সেনাকে বলতে শোনা যায়, 'দয়াময় ঈশ্বরের নামে। আমি আইডিএফের [ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেস] মুখপাত্র বলছি।'
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর নিন্দা করে বলেছে, এটি হলো ধর্মীয় পবিত্র স্থানের প্রতি অবমাননা।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী মনে করছে, এটি ছিল তাদের সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তির প্রতি 'সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত।'
জেনিনে তিন দিনের অভিযানকালে ইহুদিবাদী সেনারা এ ঘটনা ঘটায়।
ইতোমধ্যে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স এই অপরাধে বেশ কয়েকজন সেনাকে সাসপেন্ড করেছে।
ইসরাইলি বাহিনী বলছে, সেনাদের কমান্ডাররা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে জড়িত সেনাদের সরিয়ে দেয় এবং ভিডিওর ব্যাপারে অনুসন্ধান চালায়।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, ভিডিওতে দেখা যাওয়া সেনাদের আচরণ ভয়াবহ এবং আইডিএফের মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাদের আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে।
আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি ঘটনার নিন্দা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের সংকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন।
সূত্র: গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইসরাইল, আলজাজিরা