গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজার ২০০
গাজায় আবারও হামলার পরিধি বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার গাজার উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের সামরিক ঘাঁটি এবং টানেল লক্ষ্য করেই এ অভিযান। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক গাজাবাসী। ধ্বংস হয়েছে বেশকিছু আশ্রয়কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে একটি স্কুলও। হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রটিতে শতাধিক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক হাসপাতালও।
এদিকে, খান ইউনিস থেকে বেসামরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অঞ্চলটির কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করছে ট্যাংক বহর। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই সেখানে স্থল অভিযান শুরু করবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ২শ’র বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।
ফিলিস্তিনে অধিকৃত গাজা উপত্যকায় সার্বিক অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। এছাড়া তাদের অনবরত বোমাবর্ষণে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোও সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় গাজার প্রতিটি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অবিলম্বে নির্বিঘ্ন ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত না করলে চূড়ান্ত রূপ নেবে খাদ্য সংকট। এই মুহূর্তে দেশটির অর্ধেক মানুষ ভুগছে তীব্র খাদ্য সংকটে।
প্রসঙ্গত, দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকে গাজার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে রাখে তেল আবিব। ফলে, বাধাগ্রস্ত হয় ত্রাণ সরবরাহ। আন্তর্জাতিক তৎপরতায় কিছু মানবিক সহায়তা প্রবেশ করলেও সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।