গাজার অর্ধেক মানুষ অভুক্ত: জাতিসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ PM

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল। জাতিসংঘেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতিতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে গাজার বাসিন্দারা। 

গাজার খুব অল্প কিছু জায়গাতেই কেবল মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে এখন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গাজাজুড়ে এখন খাদ্যের তীব্র সংকট। ক্ষুধায় শিশুরা কাঁদছে।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছেন মুস্তফা আল-নাজ্জার। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, 'আমি ভীষণ ক্ষুধার্ত। আমরা এখন টিনজাত খাবার আর বিস্কুট খেয়ে বেঁচে আছি। যেটুকু খাবার আছে, তা-ও যথেষ্ট নয়।'

প্রাপ্তবয়স্করা ক্ষুধা সহ্য করে নিতে পারলেও, বাচ্চারা তা পারছে না। আল-নাজ্জার বলেন, 'নিজের ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে খিদেয় কাঁদতে দেখাটা ভীষণ হৃদয়বিদারক ও কঠিন অভিজ্ঞতা।'

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজার অর্ধেক মানুষ অভুক্ত থাকছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) উপপরিচালক কার্ল স্কাউ। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই বলেও জানান তিনি।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপপরিচালক কার্ল স্কাউ বলছেন, গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯জন প্রতিদিন খাবার খেতে পায় না। ত্রাণ সহায়তার সামান্য অংশ এখন গাজায় প্রবেশ করতে পারছে। ইসরায়েলের হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ধারাবাহিক হামলায় গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে পারছে না। 

এক্সে দেওয়া পোস্টে ডব্লিউএফপির উপপরিচালক আরও বলেন, প্রয়োজনীয় ত্রাণসহায়তার সামান্যই গাজায় ঢুকতে পারছে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই প্রতিদিন খাবার জোটে না।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেন, কোনও বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু বেদনাদায়ক, তবে আমাদের কাছে বিকল্প নেই। গাজায় যত বেশি সম্ভব ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে, হামাসকে নির্মূল করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে তারা গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাবে।

আবার ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে নির্মূল করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে তারা গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাবে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাস আকস্মিক হামলা চালানো পর গাজার সঙ্গে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় দেশটি। এখন শুধুমাত্র রাফাহ সীমান্ত খোলা রয়েছে ত্রাণ সরবরাহের জন্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭শ’ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে ৭ হাজারের বেশি শিশু।