গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিলো বাংলাদেশ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে’ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। তবে এ প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত আর পাস হয়নি। তবে এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের ধারা- ৯৯ এর ক্ষমতাবলে ওই প্রস্তাব উত্থাপন ও এ নিয়ে আলোচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদকে বাধ্য করেন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের স্থায়ী উপ-পর্যবেক্ষক ও দূত মাজেদ বামইয়া মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (পূর্বে টুইটার) জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ১০০টিরও বেশি দেশ সমর্থন দিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন উপ-রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র টেকসই শান্তির সমর্থক, যেখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উভয় দেশ শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে থাকতে পারবে। তবে আমরা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিকে সমর্থন করি না।
যুদ্ধবিরতির পক্ষে যেসব দেশ
আফগানিস্তান, অ্যান্ডোরা, অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, আর্জেন্টিনা, আজারবাইজান, বাহামাস, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বার্বাডোজ, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বেলিজ, বেনিন, বলিভিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাদ, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, কমোরোস, কঙ্গো, কোস্টারিকা, কিউবা, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, জিবুতি, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র।
এছাড়া রয়েছে, মিশর, এল সালভাদর, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, ফিজি, ফিনল্যান্ড, গাম্বিয়া, গ্রেনাডা, গায়ানা, আইসল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকা, জর্ডান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, লেবানন, লেসোথো, লিবিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মাল্টা, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, মরক্কো।
আরও রয়েছে, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, ওমান, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, রাশিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ, সান মারিনো, সৌদি আরব, সেনেগাল, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, স্লোভেনিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, শ্রীলংকা, সুদান, সুরিনাম, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তিমুর-লেস্তে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান, ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন ও জিম্বাবুয়ে।
প্রসঙ্গত, সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় ইসরায়েলি তাণ্ডবে প্রাণ গেছে ১৭ হাজার ৪শ’র বেশি ফিলিস্তিনির। আহত ৬০ হাজার। নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
সূত্র: আল জাজিরা