যুদ্ধবিরতির সময় জানাল হামাস
অনেক কাটখড় পোড়ানোর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সময় জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সময় জানিয়েছেন।
মুসা আবু মারজুক বলেছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই যুদ্ধবিরতি গাজার সব এলাকায় কার্যকর হবে। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজার আকাশে ইসরায়েলের কোনো যুদ্ধবিমান বা সাধারণ বিমান চলাচল করবে না।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, আগামীকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এরপর একই দিন দুপুর নাগাদ হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু হবে।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এই সময়ের ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা নাগাদ যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সময় জানাতে পারে ইসরায়েল।
এর আগে বেশ কয়েক দিনের দরকষাকষির পর বুধবার গাজা উপত্যকায় কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল ও হামাস। প্রাথমিকভাবে কোনো পক্ষই যুদ্ধবিরতি কখন থেকে কার্যকর হবে তা জানালেও কাতার বলেছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় চার দিন সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। পাশাপাশি ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে মানবিক, চিকিৎসা সহায়তা ও জ্বালানি নিয়ে শত শত ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশাপাশি দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর হামাসকে নিশ্চিহ্নের নাম করে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।