ভারতের উত্তর প্রদেশে ‘হালাল’ সনদ সম্পর্কিত পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে এফআইআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৩ PM

ভারতের বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে হালাল সনদ সম্পর্কিত পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে ‘এফআইআর’ দায়ের হয়েছে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, এই বিষয়ে দেশবিরোধী কার্যকলাপের আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্য সরকার হালাল শংসাপত্রসহ পণ্য বিক্রির উপর রাজ্যব্যাপী নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। খবর পার্স টুডের। 

উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষনৌতে হালাল ইস্যুতে কঠোর ধারা ও অভিযোগের অধীনে একটি এফআইআর হয়েছে। হজরতগঞ্জে একটি কোম্পানি ও কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে ওই বিষয়ে মামলা হয়েছে। এভাবে হালাল সনদ নিয়ে কঠোর হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।    

গত শুক্রবার হজরতগঞ্জ কোতোয়ালিতে হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া পণ্য বিক্রিকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। শৈলেন্দ্র কুমার শর্মা নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে হজরতগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। এ সম্পর্কে ‘হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড চেন্নাই’, ‘জমিয়ত উলামা হিন্দ হালাল ট্রাস্ট দিল্লি’, ‘হালালা কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া মুম্বাই’, ‘জমিয়ত উলামা মহারাষ্ট্র মুম্বাই’ এবং হালাল শংসাপত্র দেওয়ার পরে পণ্য বিক্রি করে এমন অজ্ঞাত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি/১৫৩এ/২৯৮/৩৮৪/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৫ ধারার অধীনে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে৷

এসব সংস্থার বিরুদ্ধে ধর্মের নামে নির্দিষ্ট ধর্মের গ্রাহকদের কাছে বিক্রি বাড়াতে আর্থিক লাভের জন্য প্রতারণা করে বিভিন্ন পণ্যে হালাল সার্টিফিকেট ইস্যু করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।   

অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজ্যে এ ধরণের পণ্যের বাজার দেখা যায়, যা জনগণের আস্থার নিছক লঙ্ঘন। কোনও অধিকার ছাড়াই জাল নথির মাধ্যমে হালাল সার্টিফিকেট প্রদান করে বিভিন্ন কোম্পানি অন্যায্য মুনাফা অর্জন করছে। এছাড়া জনগণের আস্থা নিয়েও খেলা হচ্ছে। এই কোম্পানিগুলো সমাজের একটি বিশেষ অংশকে প্রভাবিত করার জন্য প্রতারণামূলক ফর্ম ব্যবহার করছে এবং এমনকি নির্ধারিত মানও অনুসরণ করছে না বলে অভিযোগ।

শৈলেন্দ্র শর্মার দায়ের করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে তার আশঙ্কা-এই অযৌক্তিক সুবিধাটি অসামাজিক/দেশবিরোধী উপাদানগুলোতে প্রসারিত হচ্ছে। এভাবে একটি বিশেষ সম্প্রদায় এবং তাদের পণ্যের বিরুদ্ধে একটি অসামাজিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এমনকি প্রসাধনী তেল, সাবান, টুথপেস্ট, মধু ইত্যাদি বিক্রির জন্যও ‘হালাল’ শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।