বন্ধ হয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতাল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৩ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি এই নৃশংস হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতল, অ্যাম্বুলেন্স এমনি শরণার্থী শিবিরও। ইতোমধ্যে গাজায় ৮টির বেশি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতালও।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। এমনকি গাজায় রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
আনাদোলুর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতাল এখন আর চিকিৎসা অবকাঠামো হিসেবে কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেছেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গাজার এই হাসপাতালটি আর হাসপাতাল হিসেবে কাজ করছে না। হাসপাতালগুলো নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ার কথা থাকলেও এসব স্থান যখন মৃত্যু, ধ্বংস এবং হতাশার দৃশ্যে রূপান্তরিত তখন বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।
হাসপাতালের ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান বলেন, গত তিন দিন ধরে গাজার এই হাসপাতালে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট এবং দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এসব কারণে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে, রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এছাড়া ইসরাইলের এ বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই প্রায় ১৩ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার জন শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।
ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে প্রায় ২৮ হাজারের মতো মানুষ। তবে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সুবিধাও রাখেনি দখলদার বাহিনী।