ঘূর্ণিঝড় ফেংশেনের আঘাতের শঙ্কায় ফিলিপিন্সে জোর প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
Citizen Journal Citizen Journal
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৭ PM

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘ফেংশেন’ দ্রুতগতিতে ফিলিপিন্সের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উঠে আসা এ ঝড়টি আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে হাজার হাজার মানুষকে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ফিলিপিন্সের আবহাওয়া অধিদপ্তর পাগাসা জানিয়েছে, ঝড়ের কেন্দ্র এখন সামার দ্বীপের উপকূল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ফেংশেন বর্তমানে ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে এবং দ্বীপটিতে ২ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় এলাকায় ইতোমধ্যেই প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে ১ থেকে ২ মিটার উঁচু ঢেউ ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ক্যাটানডুয়ানেস প্রাদেশিক সরকারের কর্মকর্তা গেরি রুবিও বলেন, “উপকূল, নিম্নাঞ্চল ও ভূমিধস-প্রবণ ঢালে থাকা বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের জরুরি স্থানান্তর পরিকল্পনা সক্রিয় করেছে।”

এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হয়েছেন। পার্শ্ববর্তী সোরসোগন ও অ্যালবে প্রদেশেও একইভাবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এসব অঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বেশি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে বেশি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ফিলিপিন্সে প্রতিবছর গড়ে ২০টির মতো ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে। এ বছর ফেংশেন হচ্ছে ১৮তম ঘূর্ণিঝড়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটি একাধিক ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত, যেখানে অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব উষ্ণ হয়ে উঠছে, আর এর ফলেই ক্রমেই শক্তিশালী ঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে। তারা সতর্ক করেছেন, ফেংশেনের মতো ঘূর্ণিঝড় ভবিষ্যতে আরও ঘন ঘন ও তীব্র আকারে দেখা দিতে পারে।