গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৪ AM

দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলা যুদ্ধ শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ‘স্বাভাবিক হয়ে উঠবে’ বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় সময় রবিবার (১২ অক্টোবর) রাতে ইসরাইলের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে তিনি বলেন, যুদ্ধ যে শেষ হয়েছে, সেটা আপনারাই দেখতে পারছেন।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর থেকে গাজায় হামাস ও ইসরাইলের  মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। আজ সোমবার ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে।

মধ্যপ্রাচ্য সফরে সোমবার প্রথমে ইসরাইলের পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প। তারপর মিশরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। 

মিশর সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটিতে আয়োজিত সম্মেলনের লক্ষ্য হলো গাজায় সংঘাত শেষ করা। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের প্রচেষ্টা জোরদার করা; একই সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তার নতুন এক যুগে প্রবেশ করা।

এরইমধ্যে সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরে পৌছেঁছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টসহ ২০টি দেশের শীর্ষ নেতারা।

অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে বাসস্থানে ফিরতে শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে চিরচেনা সেই গাজা সিটি আগের মতো নেই। ইসরাইলি হামলায় কিছুই অবশিষ্ট নেই উপত্যকাটিতে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘের স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গাজা শহরের প্রায় ৮৩ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়েছে, সমগ্র অঞ্চলের ৭৮ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জাতিসংঘ পরিবেশ সংস্থার হিসেবে, গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৬ কোটি ১০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ সরাতে হবে, যা ২৫টি আইফেল টাওয়ারের সমান। পুনর্গঠনে খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ডলারেরও বেশি। তবে স্থানীয়দের জন্য এখন মূল চাহিদা হলো নিরাপদ আশ্রয় এবং মৌলিক জীবনধারণ সামগ্রী। হাসপাতাল গুলোতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম।