প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাকিস্তান; ১৮০ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৩ PM

চলতি বর্ষা মৌসুমে পাকিস্তানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগের বছরগুলোর তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন।

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, জুলাই মাসের শুরু থেকেই দেশজুড়ে অস্বাভাবিকভাবে আগেভাগে এবং ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, যা প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি) নতুন করে ভারী বৃষ্টি, বজ্রঝড় ও দমকা হাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এতে করাচি, হায়দরাবাদসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে পিএমডি।

এনডিএমএ জানিয়েছে, সিন্ধুর শহরাঞ্চলের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হতে পারে। নাগরিকদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান না করতে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পাঞ্জাব প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়টিতে প্রদেশটির বেশিরভাগ এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হতে পারে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবের মধ্যাঞ্চলেও ২৪ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অঞ্চলেও বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে প্রশাসন।

খাইবার পাখতুনখওয়ায় হিমবাহ গলে যাওয়া পানি ও টানা বর্ষণের কারণে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

শনিবার পাঞ্জাব প্রদেশে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একজন ডুবে, একজন ঘরের ছাদ ধসে এবং আরেকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

পাঞ্জাবের জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৫ জুন থেকে বৃষ্টিপরবর্তী দুর্ঘটনায় ১,৫৯৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪৯ জন গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা ও রয়টার্স