চুক্তি লঙ্ঘন করে ফের প্রতিবেশি দেশে ইসরায়েলের হামলা
-1060916.jpg?v=1.1)
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে আবারও লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবার (৪ জুলাই) দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করে ঘরবাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি যানবাহন ধ্বংস করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে নাবাতিয়েহ প্রদেশের আইতা আল-শাব শহরে একটি বসতবাড়ি, মেইস এল জাবাল শহরে একটি সরকারি বুলডোজার এবং মারজাইউন শহরের একটি পোশাক কারখানায় ইসরাইলি গোলাবর্ষণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে লেবাননে সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মূল লক্ষ্য ছিল লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত টানা এক মাস অভিযানে হিজবুল্লাহর বেশিরভাগ ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়, নিহত হন গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং প্রথম সারির বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার। এরপর থেকেই দক্ষিণ লেবাননে ঘাঁটি স্থাপন করে ইসরাইলি বাহিনী, যেখানে হিজবুল্লাহর অধিকাংশ সামরিক অবকাঠামো অবস্থিত।
২০২৪ সালের নভেম্বরে লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল— লেবানন থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং লেবাননের ভূখণ্ডে আর কোনো সামরিক অভিযান চালানো হবে না। তবে চুক্তির আট মাস পার হলেও ইসরাইল এখনো দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা সরায়নি। বরং নতুন করে আবারও হামলা চালিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করল।
এ পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেবাননের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন— নভেম্বরের মধ্যে হিজবুল্লাহ যদি অস্ত্র সমর্পণ না করে, তবে ডিসেম্বর থেকে আবারও পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করবে আইডিএফ।
তবে হিজবুল্লাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষা ও জাতীয় মর্যাদার প্রশ্নে কোনো আপস নয়।