নানান গুনে ভরপুর খেজুর
খেতেই সুস্বাদু খেজুর ফলে রয়েছে স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। তাই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে খেজুর সেরা খাবারের একটি। যাঁরা প্রক্রিয়াজাত চিনি বা মিষ্টি খেতে অনিচ্ছুক, তাঁদের জন্য খেজুর সেরা বিকল্প। সারা বিশ্বে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির খেজুর আছে। খেজুরে আছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ও ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। এবার জেনে নিন খেজুরের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
১. খেজুর রক্তনালির জন্য ভালো। খেজুর খেলে ধমনি পরিষ্কার থাকে। রক্ত চলাচলে কোনো বাধার সৃষ্টি হয় না। ফলে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
২. গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুর খেলে যকৃৎ ভালো থাকে ও শক্তিশালী হয়।
৩. খেজুরে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করে এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।
৪. খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য খুব ভালো। ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়াকে সতেজ করে। খেজুরে লুটেনিন ও জেক্সানথিনও রয়েছে। এগুলো চোখকে সুরক্ষিত রাখে।
৫. ইফতার ছাড়াও বছরের বাকি সময় নাশতার একটি ভালো পদ হতে পারে খেজুর। খেজুরে চিনি আছে, যা শরীরকে শক্তি দেয়। নাশতা হিসেবে বাদামের সঙ্গে খেজুর খেলে আরও বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কারণ, বাদামে থাকা ফ্যাট খেজুরের শক্তিকে আরও বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে খেলোয়াড়দের খাদ্য তালিকায় এ–জাতীয় খাবার থাকে।
৬. খেজুর বদহজম রোধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুকের জ্বালাপোড়া উপশম করে। খেজুরে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফাইবার খাবার হজমে সাহায্য করে।
৭. খেজুরে ম্যাগনেশিয়াম আছে, যা ফোলা ও ব্যথা সারিয়ে আরাম দেয়। এ ছাড়া খেজুরের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব রয়েছে। ফলে সংক্রমণ হওয়ার আশংকা কমে যায়।
৮.খেজুর ফ্রুকটোজের (ফলে থাকা একধরনের প্রাকৃতিক চিনি) একটি উৎস। এ উপাদানের কারণে খেজুর খুবই মিষ্টি। খেজুরে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি কোনো রেসিপিতে সাদা চিনির দারুণ বিকল্প হতে পারে।
৯. রক্তাস্বল্পতার ওষুধ হিসেবে কাজ করে খেজুর। খেজুরে রয়েছে প্রচুর আয়রন। খেজুর দেহের আয়রনের অভাব পূরণ করে রক্তস্বল্পতার মতো রোগ থেকে রক্ষা করে।
১০. নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় খেজুর। ত্বকের বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ করতেও খেজুর উপকারী।
আসুন অভ্যাস তৈরি করি। নিয়মিত খেজুর খাই। সুস্থ থাকি।