৩৪ বছর পর ঐতিহাসিক জয় পেল ২১০ নম্বর র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা দেশটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ AM

বিশ্ব ফুটবল র‍্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে পিছনে আছে দেশটি। এজন্য সবচেয়ে বাজে দল হিসেবে পরিচিতি আছে দেশটির। র‍্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে ২১০তম অবস্থানে আছে তারা, যা সবার নিচে। দেশটির নাম সান মারিনো। চারদিকে ইতালি দ্বারা বেষ্টিত ৬১ বর্গ কিলোমিটারের দেশ সান মারিনো নিজেদের ফুটবল ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে দল বলে স্বীকৃত। ২০০৪ সালে লিচেনস্টাইনকে হারানোর পর একটি ম্যাচে জয় পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৪০ ম্যাচ এবং ক্যালেন্ডারের হিসেবে ২০ বছর।

সেপ্টেম্বর মাসে সেই লিচেনস্টাইনকে হারিয়েই জয় পেয়েছিল সান মারিনো। এক ম্যাচ পরেই তারা আবার ফিরে যায় হারের বৃত্তে। কিন্তু গতকাল রাতে উয়েফা নেশন্স লিগ-ডি এর গ্রুপ-১ এর ম্যাচে সেই দলটাই রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছে। তুলে নিয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়।    

ফুটবল ইতিহাসে ২১১ ম্যাচ খেলেছে সান ম্যারিনো। হেরেছে ১৯৮ ম্যাচ। ড্র ১০ ম্যাচে আর জয় তিন ম্যাচে। শেষ জয়টা এসেছে গতকাল রাতে। এবারও প্রতিপক্ষ সেই লিখেনস্টাইন! তবে এই জয়ে মিশে আছে অন্যরকম মাহাত্ম্য। নিজেদের ১০১ তম অ্যাওয়ে ম্যাচে এসে ৯৬ হার আর ৪ ড্রয়ের পর এমন এক জয় পেয়েছে দেশটি। 

সবমিলিয়ে হিসেব করলে, ২১০ ম্যাচ আর ৩৪ বছরের অপেক্ষা শেষে এবারই প্রথম প্রতিপক্ষের মাঠে জয় পেয়েছে সান মারিনো। এর আগের দুই জয়ই এসেছিল ঘরের মাঠে। তারচেয়ে বড় কথা, এবারই প্রথম কোনো ম্যাচে এক ম্যাচে ৩ গোল করতে পেরেছে দেশটি। মাত্র দ্বিতীয়বার পেয়েছে একাধিক গোল।  স্বাভাবিকভাবেই এই জয় তাদের জন্য বাড়তি কিছু। আর সেটার ফলাফলও এসেছে হাতেনাতে। ৩-১ গোলের জয়ে উয়েফা নেশন্স লিগে প্রমোশন পেয়েছে তারা। 

লিচেনস্টাইনের রাইনপার্ক স্টেডিয়ামে অ্যারন সেলের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর প্রথম মিনিটেই লরেঞ্জো লাজ্জারির গোলে আসে সমতা। নান্নি গোল করেন ম্যাচের ৬৬ মিনিটে। সেটা অবশ্য এসেছে পেনাল্টির কল্যাণে। মিনিট দশেক পরেই গোল করেন আলেসান্দ্রো গোলুনচ্চি। 

এরইসঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় স্যান মারিনোর ঐতিহাসিক জয়। রবের্তো সিভোলির দল নিশ্চিত করে তারা যাচ্ছে উয়েফা নেশন্স লিগের গ্রুপ ‘সি’তে। ৪ ম্যাচ শেষে তাদের অর্জন ৭ পয়েন্ট। গ্রুপের অন্য দল জিব্রাল্টারের অর্জন ৬ পয়েন্ট। আর লিখেনস্টাইন পেয়েছে ৪ পয়েন্ট।