প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৫, ০৯:৫৯ AM

কার্লো আনচেলত্তির অধীনে রিয়াল মাদ্রিদের সাদা জার্সিতে বিশ্বমানের তারকায় পরিণত হয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে জাতীয় দলে তার পারফরম্যান্স ছিল তুলনামূলকভাবে ম্লান। এবার সেই আনচেলত্তি ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই যেন দৃশ্যপট বদলে গেল। ঘরের মাঠে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আনচেলত্তির অধীনে নিজের প্রথম ম্যাচেই গোলের দেখা পেলেন ভিনিসিয়ুস।

প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে করা তার একমাত্র গোলেই ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। আনচেলত্তির অধীনে এটিই ব্রাজিলের প্রথম জয়। তবে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ৪৮ নম্বরে থাকা প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এ জয়টি ব্রাজিল সমর্থকদের কাছে খুব একটা তৃপ্তিদায়ক মনে হয়নি।

এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না ব্রাজিলের জন্য। প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগে শেষ ৫ ম্যাচে ছিল মোটে ১ জয়। কার্লো আনচেলত্তি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম ম্যাচেও ছিল না ব্রাজিলের দাপুটে পারফরম্যান্স। তবে বুধবার ভোরের ম্যাচে ব্রাজিলকে অনেকটাই দেখা গেছে আগ্রাসী ভূমিকায়। 

প্যারাগুয়ের দুর্বল রক্ষণ হোক বা নিজেদের আক্রমণভাগের সক্ষমতা, ব্রাজিলের খেলায় আজ অন্তত চোখ ভরার কথা সমর্থকদের। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই প্যারাগুয়েকে ভুগিয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা। শুরুর দিকে ম্যাথিয়াস কুনহা দারুণ সাহায্য করেছেন রাফিনিয়া এবং ভিনিসিয়ুসকে। তবে এই দুজনের কেউই কুনহার শুরুর দিকের পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। 

২২ থেকে ২৮– এই সাত মিনিটে অন্তত ৩টি ভাল সুযোগ হারায় ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত গোল আসে একেবারে ৪৪ মিনিটে গিয়ে। ম্যাথিয়াস কুনহাই গোলের উৎস। দলীয় বোঝাপড়ায় বল পেয়েছিলেন ডি-বক্সে। তার কাটব্যাক পাস খুঁজে নেয় ভিনিসিয়ুসকে। প্যারাগুয়ে ডিফেন্সের বাধার মুখে পড়ে যেতে যেতেও গোল করেন ব্রাজিলের এই তারকা। 

বিরতির পর ব্রাজিল বলের দখল রেখেছিল ঠিকই, তবে গোল করার মতো আক্রমণ রচনা করতে পারেনি। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে প্যারাগুয়ে অন্তত দুবার ভয় ধরিয়েছিল ব্রাজিল রক্ষণে। ৬০ মিনিটে অ্যান্তোনিই সানাব্রিয়ার শট ঠেকান ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। ৭২ মিনিটে জুনিয়র আলোনসোর হেড চলে যায় বারের খানিক বাইরে দিয়ে।

শেষদিকে ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ সাফল্যের মুখ অবশ্য দেখেনি স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার কারণে। তাতে অবশ্য জয় পেতে অসুবিধা হয়নি ব্রাজিলের। এই জয়ের পর কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বের তিন নম্বরে উঠে এসেছে সেলেসাওরা। ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল তারা।