সহকারি শিক্ষকরা চান দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হোক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক নামে একটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৬ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৯ হাজার ৫৭২টি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। তবে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা এই সহকারী প্রধান শিক্ষক পদটি চান না। মেধাবীদের প্রাথমিক সেক্টরে ধরে রাখতে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
সম্প্রতি এই পদ যাতে সৃষ্টি না করা হয়, এ জন্য প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেছেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার ২০ জেলার ৬৭টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) একযোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। নারায়ণগঞ্জ, জয়পুরহাট, মানিকগঞ্জ, মাগুরা, মেহেরপুর, মাদারীপুর, হবিগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, নওগাঁ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও পঞ্চগড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শিক্ষকেরা বলেন, ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি হলে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা, সবেতনে পদোন্নতির জন্য আর্থিক ক্ষতিসহ আরও বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হবে। আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চাই। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদটি সৃষ্টি হলে দশম গ্রেডের পক্ষে প্রথম প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করবে।’
দশম গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির মুখপাত্র জোবায়ের হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন না করে ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক’ পদ সৃষ্টি করে শিক্ষকদের যাঁরা স্থায়ীভাবে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে রাখার প্রয়াস চালাচ্ছেন, আমরা তাঁদের সতর্ক করতে চাই, আপনারা প্রাথমিক শিক্ষাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবেন না। আপনারা দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করুন। মেধাবীদের প্রাথমিক সেক্টরে ধরে রাখতে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের বিকল্প অন্য কোনো কিছু হতে পারে না। মেধাবীরা প্রাথমিক সেক্টরে এলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে। আমরা অবিলম্বে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ হিসেবে দশম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি চাই।’