শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়ছে ধাপে ধাপে, শ্রেণিকক্ষে ফেরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
_-1210656.png?v=1.1)
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ধাপে ধাপে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। চলমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। আগামী বছরের জুলাই থেকে আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক। তবে এখনই মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বাড়ানোর মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফিরে আসেনি।”
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশের অর্থনীতি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতি কিছুটা গতিশীল হলেও এখনই বড় পরিসরে বাড়তি ব্যয় বহনের মতো অবস্থায় আমরা নেই। তাই বাস্তবতার নিরিখেই সরকারকে এই ধাপে ধাপে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এই সিদ্ধান্তের পর আন্দোলনরত শিক্ষকরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে আবারও মনোনিবেশ করবেন।
শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে গত কয়েক দিন ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে আন্তরিক ভূমিকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।