উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশ, রাশিয়া, সিঙ্গাপুরের দিকে ঝুঁকছে ভারতীয়রা!
-1260858.jpg?v=1.1)
পশ্চিমা দেশগুলো—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দীর্ঘদিন ধরেই বেশ লক্ষণীয়। তবে ২০২৪ সালে এসব দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আগ্রহে উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো জনপ্রিয় শিক্ষাগন্তব্যগুলোতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কমে গেছে।
২০২৩ সালে যেখানে বিদেশে পাড়ি দেওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮.৯২ লাখ, ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৯ লাখে। সবচেয়ে বড় ধস দেখা গেছে কানাডায়—রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে পাঠানো শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪১ শতাংশ কমে গেছে। ২০২৩ সালে যেখানে ২,৩৩,৫৩২ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী ছিল কানাডায়, ২০২৪ সালে তা নেমে এসেছে ১,৩৭,৬০৮ জনে।
যুক্তরাষ্ট্রেও কমেছে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা, ২০২৩ সালে যেখানে তা ছিল ২.৩৪ লাখ, ২০২৪ সালে তা নেমে এসেছে প্রায় ২.০৪ লাখে। যুক্তরাজ্যেও দেখা গেছে একই প্রবণতা—গত বছরের ১.৩৬ লাখ থেকে এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯৮ হাজারে।
অন্যদিকে, তুলনামূলকভাবে কম প্রচলিত দেশগুলোয় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, রাশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছেন কম খরচ, সহজ ভিসা প্রক্রিয়া ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো নির্দিষ্ট বিষয়ে সুযোগের কারণে।
বাংলাদেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০২৩ সালের ২০,৩৬৮ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে হয়েছে ২৯,২৩২। উজবেকিস্তানে শিক্ষার্থী বেড়েছে ৬,৬০১ থেকে ৯,৯১৫ জনে। রাশিয়ায় সংখ্যা বেড়েছে ২৫,৫০৩ থেকে ৩১,৪৪৪-এ, যেখানে চিকিৎসাবিদ্যা সবসময়ই অন্যতম আকর্ষণ। সিঙ্গাপুরেও কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেছে—২০২৩ সালের ১২,০০০ থেকে ২০২৪ সালে তা দাঁড়িয়েছে ১৪,০০০-এ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে ভিসা জটিলতা, ব্যয়বহুল টিউশন ফি ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এখন বিকল্প গন্তব্যে উচ্চশিক্ষার পথ খুঁজছেন।