আজ থেকে কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মে ২০২৫, ১০:৫৬ AM

সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে তারা ১১তম গ্রেডের দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবির প্রেক্ষিতে আজ সোমবার (০৫ মে) থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এর আগে, রবিবার (৪ মে) পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তারা।

সহকারী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে ১০ম গ্রেডে বেতন দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। তবে এখন তারা বলছেন, অন্তত শুরুতে ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি চাকরিতে ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির দাবিও তুলেছেন তারা।

তিন দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকরা ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন। এরপর ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি চলবে। ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত তারা অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যাবেন। দাবি পূরণ না হলে ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

জানা গেছে, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে প্রায় পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত আছেন। এতদিন এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পেতেন।

তবে গত ১৩ মার্চ উচ্চ আদালতের এক রায়ে প্রায় ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষককে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়া হয় এবং তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সহকারী শিক্ষকদের বেতনও এক ধাপ বাড়িয়ে ১২তম গ্রেড নির্ধারণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার গঠিত কমিটির প্রতিবেদনেও একই সুপারিশ করা হয়েছে।