এবার ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের অবরোধ ও বিক্ষোভ
শ্রমিক অসন্তোষ প্রায় কমেই এসেছিলো। এরপর আবার ২৫০০০ টাকা বেতনের দাবিতে অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেছে পোশাক শ্রমিকরা। শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার পরও থামছে না শ্রমিক অসন্তোষ। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ফের নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছে পোশাকশ্রমিকরা। এতে আশুলিয়ায় ৫১টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।
আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সকালে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে, এরইমধ্যে ৪৩টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আটটি কারখানায় শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
সারোয়ার আলম আরও বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী টহল অব্যাহত রেখেছে।
শিল্প মালিকরা বলছেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় নানা অজুহাতে আন্দোলন ও কারখানা ভাঙচুর শুরু করে দুর্বৃত্তরা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে পোশাক খাত। ফায়দা নিতে ওত পেতে আছে বেশ কিছু দেশ।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।