টিসিবি পণ্য: ৪৬৮ কোটি টাকার তেল-ডাল কেনা হচ্ছে
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্য বিক্রির জন্য মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও রাইস ব্রান তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ২২ হাজার টন মসুর ডাল, ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল। এতে ব্যয় হবে ৪৬৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, টিসিব’র জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে নাবিল নাবা ফুডস প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ২৪ পয়সা। যা আগে ছিলো ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে টিসিবি’র জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ১০ হাজার টন মুসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা। এছাড়াও ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর মেসার্স সালমান খুরশীদের কাছ থেকে ৩ হাজার টন এবং খুলনার শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ৩ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ৪০ পয়সা।
সচিব আরও জানান, টিসিবি’র সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৫২ টাকা।
এছাড়া মজুমদার প্রোডাক্টস এবং মজুমদার ব্রাণ অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম পড়বে ১৪৮ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের লটে যা ছিলো ১৫২ টাকা।