ভারত থেকে ৭৪ টন আলু আমদানি; কেজিপ্রতি খরচ ২৯ টাকা!
সারাদেশে আলুর দাম ক্রমাগত বাড়ায় এবার ভারত থেকে প্রথমবার আলু আমদানি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তিন ট্রাকে করে ১ হাজার ৪৮০ বস্তায় ৭৪.০১ মেট্রিক টন আলু ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি হলো ইন্ট্রিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।
গতকাল শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সরকারি ছুটি থাকায় আজ শনিবার আলুর চালানটি বিকেল নাগাদ ছাড়ের কাজ শেষ হয়।
এদিকে আলু আমদানির খবরে বেনাপোলসহ স্থানীয় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়।
বাজারে ভারতীয় আলুসহ দেশীয় নতুন আলুর সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে বলে জানান ক্রেতা–বিক্রেতারা। বাজারে আলু কিনতে আসা মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম বলেন, দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে মনিটরিং বাড়ালে দাম আরও কমবে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে প্রায় ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ৩০ অক্টোবর সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না। ৭০ থেকে ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন? আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
সরকার ১২ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে আলু আমদানির জন্য অনুমতি দেয়। বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অনুমতিপ্রাপ্ত আলুগুলো আমদানি করা হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন আলু ১৮০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি টন আলুর শুল্ক ৬ হাজার ৬৮৯ টাকা ৫০ পয়সা। সে মোতাবেক প্রতি কেজি আলুতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। আলু কেনা, এলসি খরচ ও শুল্কসহ প্রতি কেজি আলুতে আমদানিকারকের খরচ পড়ছে প্রায় ২৯ টাকা। ফলে বাজারে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব। ফলে দেশের বাজারে আলুর দাম অনেক কমে আসবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে ৭৪ মেট্রিক টন আমদানিকৃত আলু বন্দরে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার ছুটি থাকায় আজ শনিবার আলুর চালানটি খালাস হবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে আলুর চালানটি বন্দরে পৌঁছাতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগায় আলু পচে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বিআরডিসি আলুসহ দেশে উৎপাদিত নতুন আলু আসছে বাজারে। ফলে আরও কমে আসবে দাম।